কৌশিক চ্যাটার্জি, কার্গিলঃ ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হানাদারদের সঙ্গে এক ভয়ংকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। তীব্র শীতে, ...
কৌশিক চ্যাটার্জি, কার্গিলঃ ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হানাদারদের সঙ্গে এক ভয়ংকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। তীব্র শীতে, বরফের চাদরে মোড়া কারগিল, দ্রাস, বাটালিকে সকলের অজান্তে ঘাঁটি গেঁড়েছিল পাকিস্তানি সেনা। জানতে পেরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী নেমেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে যা ইতিহাসের পাতায় কারগিল যুদ্ধ নামে পরিচিত। ভারতীয় সেনাবাহিনী এর নাম দিয়েছিল অপারেশন বিজয়।
পাক হানাদারদের হঠিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে দিলেও ভারত কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে যুদ্ধ চালায়নি। বরং নিজেদের সেনা বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে চূড়ান্ত সংযম দেখিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্মানিত হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। পাহাড়ের মাথায় ঘাঁটি গেঁড়ে বসে থাকা হানাদারদের হঠাতে পাহাড় বেয়ে উঠতে গিয়ে শত্রুর গুলির সামনে বুক চিতিয়ে শহিদ হয়েছেন প্রচুর ভারতীয় সেনা।
তবু শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে ভারত। আর এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতি বছর ২৬ জুলাই পালন করা হয় কারগিল বিজয় দিবস। কারগিলের যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে, তাঁদের স্মৃতিতে দ্রাসে ন্যাশনাল হাইওয়ের ওপরই তোলোলিং পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে কারগিল ওয়ার মেমোরিয়াল।
কারগিল যুদ্ধে ব্যবহৃত যুদ্ধাস্ত্র, পাকিস্তানি সেনার আই কার্ড থেকে শুরু করে নিহত ভারতীয় সেনার শেষ চিঠি পর্যন্ত সব স্মৃতিরই ঠাঁই হয়েছে এই মেমোরিয়াল-এ।
২০২২ সালের কারগিল বিজয় দিবসে 'খোঁজ 24' হাজির হয়েছিল কারগিল ওয়ার মেমোরিয়াল-এ।
পুরো গল্পটি দেখতে নীচের ভিডিও লিঙ্কে ক্লিক করুন
কারগিল শহর থেকে আধ ঘন্টার দূরত্বেই রুক্ষ এক পাহাড়ের গায়ে রয়েছে এক ভাঙাচোরা ধুসর গ্রাম। নাম হুন্দেরমান। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যা ছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দখলে। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনা এই গ্রামকে নিজেদের কব্জায় আনতে সমর্থ হয়।
এই গ্রামের আশেপাশে আজও কিন্তু পোঁতা আছে পাকিস্তানি মাইন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাতে পালাতে পাক সেনারা যা পুঁতে দিয়ে গেছিল গ্রামের চারপাশে। এই গ্রামেরই এক প্রান্ত থেকে একেবারে চাক্ষুষ করা যায় ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণ রেখা। পরিভাষায় যা পরিচিত, লাইন অফ কন্ট্রোল নামে।











COMMENTS