Today's new travel destination is 'Jaipur Jungle' in Bankura. Bankura means the lifestyle of simple people with mountains and forests.
এখানের অরণ্য অনেকের কাছে পরিচিত এবং এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য খুবই আরামদায়ক।
দৈত্যাকার গাছগুলি একটি ঘন ছাউনি তৈরি করে এবং বনের কিছু অঞ্চল আলো থেকে বঞ্চিত হয়, যা বনের সেই অঞ্চল গুলিকে আরও রহস্যময় দেখায়।
বনভূমিতে শুধু বৃহৎ প্রজাতির গাছই নেই, বরং এটি প্রাণবন্ত বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য সমানভাবে পরিচিত, বিশেষত “চিতল হরিণ”। আপনি যখন বনের সরু পথ ধরে হাঁটবেন, আপনি হঠাৎ এই হরিণগুলির দেখা পাবেন।
জঙ্গলের অভ্যন্তরীণ অংশে ছুটে যাওয়ার আগে তাদের ফটোগুলি ক্লিক করার সুবর্ণ সুযোগটি মিস করবেন না।
আপনি জঙ্গলে হাতি, বন্য শিয়াল এবং শেয়ালের মতো অন্যান্য প্রাণীও দেখতে পারেন। ভোরবেলা, আপনি কোয়েলের মিষ্টি সুর এবং অনেক পাখির কিচিরমিচির শুনতে পাবেন। রাতে আপনি ঝি ঝি পোকার ডাক এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের শব্দ শুনতে পারেন যা রাতের আঁধার কে আরো রোমাঞ্চকর করে তোলে।
জয়পুর জঙ্গলে আপনি যেকোনো সময় যেতে পারেন। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে মে ও জুন মাসে প্রবল গরম। ওই দুটো মাস এড়িয়ে যাওয়ার ভালো। তবে আদর্শ সময় শীত ও বসন্ত।
এই ফরেস্টের মধ্যে থেকে আপনি ঘুরে নিতে পারেন জয়পুর বনের আশেপাশের অনেক পর্যটন কেন্দ্র।
বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, তালবেড়িয়া, ঝিলিমিলির, জয়রামবাটি মতো অনেক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। আপনি বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দিরের মতো জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যেও যেতে পারেন এবং সেখান থেকে অন্যান্য বিভিন্ন স্থানেও যেতে পারেন।
আরণ্যক বা রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুর। সেখান থেকে ট্রেকারে চলে আসুন জয়পুরে। কলকাতা থেকে বাসে যেতে চাইলে ধর্মতলা থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে।
থাকার জায়গা একটাই- জয়পুর ফরেস্ট রিসর্ট। আরণ্যক পরিবেশে সবরকম আধুনিক ব্যবস্থা নিয়ে এই রিসর্ট পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি। বাজেট ডবল বেডরুম থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর- সব কিছুই পাওয়া যায় এই রিসর্টে।
On Line Booking হচ্ছে। শুধু ঘরে বসে বুক করে বেরিয়ে পড়ুন। মন আনন্দে ভরে উঠবে।
COMMENTS