বং 24 ডেস্কঃ শীত পড়লেই বাঙালির মন একটু বেড়াতে চায়। কিন্তু না আছে বড়ো ছুটি,না আছে পকেটের বেশি ওজন! তাহলে আদর্শ ডেস্টিনেশন হোক কথা সাহিত্যিক...
একদিন বা দু'দিন হাতে থাকলে স্বচ্ছন্দের অমলিন আনন্দের উৎস হতে পারে এই অভয়ারণ্য। ১৯৮০ সালে ইছামতি নদী সংলগ্ন ৬৪ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই অনুপম স্নিগ্ধ বনভূমি। শিমুল,অর্জুন,শিশু,শিরীষ, বাঁশ,তুঁত গাছের নিবিড় অরণ্যের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে খরগোশ,হরিণ, বেজি। মাথার উপর নানা পাখি জানান দিচ্ছে তাদের উপস্থিতি। হানুমানেরা এগাছ থেকে অগাছে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে।বনের মধ্য দিয়েই সরু ইটের রাস্তা ধরে হাঁটলে শঙ্কিত হরিণ দেখে বিস্মিত হবেন। সকাল ৯ - বেলা ৩টে পর্যন্ত হরিণদের খাবার দেওয়া হয়। তখন ঝোপের আড়াল থেকে ছুটে আসে অজস্র হরিণ। ওখানে এখনো ২০০ হরিণ নিরাপদে ঘুরে বেড়ায়। ভেতরে আছে একটা চিলড্রেন পার্ক,একটা চিড়িয়াখানা আর বনদপ্তরের ট্যুরিস্ট লজ। এক অপূর্ব নৈশব্দিক পরিবেশ। নেই মানুষের কোলাহল, বিশুদ্ধ পরিবেশে আছে শুধু ইছামতির চঞ্চলতা আর হরিণদের ছোটাছুটি।
এখানে আসলে অবশ্যই আপনাকে ইছামতিতে নৌকাবিহার করতেই হবে।তার মজাই আলাদা। নৌকো করে একটু ভেতরে গেলে দেখতে পাবেন নদীর দু'পারে ঘন বাঁশঝড়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মেঠো পথ। আর অদূরেই আছে ',নীলকুঠি' - যা ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচারের স্বাক্ষ বহন করে। একটু ঘুরে দেখে নেবেন অষ্টাদশ শতাব্দীর নীলকরদের নির্মাণ শৈলী।যাওয়া - বনগাঁস্টেশন থেকে ৩০ কিমি দূরে এই অভয়ারণ্য। বনগাঁ স্টেশন থেকে ভ্যান,টোটো বা অটো করে মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। তারপর বাসে করে কলমবাগানে নেমে আবার ভ্যান বা অটো করে 'বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য'।বনগাঁ স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন। নিজের গাড়ি করেও যেতে পারেন। ভেতরে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে।
থাকা - অভয়ারণ্যের ভেতরের বন দপ্তরের ট্যুরিস্ট লজ। আর আছে ইছামতির ঘাটের পাশে DFO রেস্ট হাউজ। ফোন করে যেকোনো একটি বুক করে নিন। (25520968/ 23350064)
এখন সব on line booking হচ্ছে। চলুন, কর্মব্যস্ত মনের প্রশান্তির জন্য দু'দিনের জন্য 'বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য।'
- শ্বাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়





COMMENTS