by Biplob Chatterjee 08/14/2022 11.30 AM ডিয়ার বেঙ্গলঃ বাংলার মন্দির মসজিদের স্থাপত্যের পিছনে কোন কোন ইতিহাস আছে।আর সেই সাথে থাকে নানা ...
by Biplob Chatterjee 08/14/2022 11.30 AM
ডিয়ার বেঙ্গলঃ বাংলার মন্দির মসজিদের স্থাপত্যের পিছনে কোন কোন ইতিহাস আছে।আর সেই সাথে থাকে নানা কথা উপকথা। যার টানে হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ছুটে কৌতুহলী মন নিয়ে, যদি পূণ্যের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এমন এক মন্দির নন্দিকেশ্বর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের নন্দিকেশ্বর মন্দির। নন্দিকেশ্বর নামের পিছনে রয়েছে প্রচলিত গল্পকথা। কারো কারো কাছে সত্যি,কারো কাছে কাল্পনিক।
কি সেই কথা জানতে মন্দিরের পুরোহিত তথা সেবাইত উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায় বলেন - তারা সাত পুরুষ ধরে নন্দিকেশ্বরের সেবা করে আসছেন।আজ থেকে এক শত পঞ্চাশ বছর পূর্বে, অঞ্চলের বেশিভাগ জঙ্গলে ভর্তি ছিল। পোষা গৃহপালিত এক গাভী প্রায় নিখোঁজ হয়ে যেত।তারই অনুসরণ করে দেখতে পান জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে। অঝোরে তার দুধ পড়ে যাচ্ছে।
তৎক্ষনাৎ জমিদার গিয়ে দেখেন এক পাথর খন্ড। লোকদিয়ে জায়গাটি পরিস্কার করেন।দেখেন পাথর খন্ডের উপরে দুটি চোখ। সেই সাথে একটি লিপি। যার অর্থ অনেক পন্ডিত উদ্ধার করতে পারেননি। নন্দিকেশ্বর নামের কারন সেই গাভীটির জন্য হতে পারে বলে অনুমান।
তারপর তার কোনক্রমে সেখানে তার সেবার আয়োজন হয়।ছোট করে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়।সময়ের সাথে শ্রীবৃদ্ধি হতে থাকে।জানা যায় শিবলিঙ্গের চোখদুটি ডাকাতরা চুরি করে নিয়ে যায়।ক্রমে ক্রমে বাবার মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। চৈত্রমাসে বহুমানুষ আসে পূণ্যের আশায়,আশে তাদের মনকামনা নিয়ে।বাবা নন্দিকেশ্বর কাউকে খালি হাতে ফেরার না।
শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন বাবার মাথায় জল ঢেলে সন্তুষ্ট করতে। কাল শ্রাবন মাসের শেষ সোমবার অগুনিত ভক্তরা আসবেন অনুমান করা যায়।





COMMENTS