নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতাকে এনে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড নজরে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে।নামি...
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতাকে এনে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড নজরে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে।নামিবিয়ার জঙ্গলে হরিণ বা নীলগাই নেই।কিন্তু আগের সপ্তাহে ওদেরই এক চিতা একটা হরিণ শিকার করে ৩দিন ধরে খেয়েছে।ওদের মধ্যে আশা সবচেয়ে ছোট।তাই তার উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিল বনদপ্তর।হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে একটা ২৫/৩০ কেজির নীলগাইকে এক থাবায় হত্যা করে ভোজন সারে।
একের পর এক ভারতীয় প্রাণীর রক্তের স্বাদ নিচ্ছে নামিবিয়া থেকে আসা এই অতিথিরা। মধ্যপ্রদেশের বন আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ২৫ থেকে ৩০ কেজি ওজনের একটি নীলগাই শিকার করেছে আশা। মুখ্য বন আধিকারিক জে এস চৌহান বলেন, "নামিবিয়া থেকে চিতাদের কুনোতে নিয়ে আসার আগে থেকেই তাদের শিকারের ধরণ নিয়ে চর্চা হয়েছিল। আমাদের অনুমান ছিল আফ্রিকার জঙ্গল থেকে আসা এই চিতারা ভারতের নীলগাই কিংবা চিতল শিকার করবে না। কিন্তু, আমাদের ধারণা ভেঙে ওরা নয়া রক্তের স্বাদ পেয়েছে। এই চিতাদের মধ্যে আশা সবচেয়ে ছোট। সে একাই আস্ত নীলগাই মেরে খাচ্ছে। বিষয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।" নীলগাই এবং চিতল হরিণ এখন চিতাদের ফেভারিট ডিনার। তাই কুনো জাতীয় উদ্যানে বাড়ানো হচ্ছে নীলগাই এবং চিতল হরিণের সংখ্যা।
গত ১৭ ডিসেম্বর কুনোর জঙ্গলে এই নামিবিয়ান চিতাকে নিজে হাতে ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজেই সবচেয়ে ছোট চিতাটির নাম রেখেছিলেন আশা। পরবর্তীতে এই আশার গর্ভবতী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু, গর্ভেই নষ্ট হয় আশার সন্তান।
৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক চিতা দিবসে আশা'র এই নীলগাই শিকারের ঘটনায় বনদপ্তর খুবই উৎসাহী। চারিদিকে সচেতনতা প্রচারে নেমেছে বনদপ্তর।
-শাশ্বতী চ্যাটার্জি



COMMENTS