Aranyasundari - Valkimachan
বং 24 ডেস্কঃ ভালকিমাচান বর্ধমান জেলার অন্তর্গত একটা অপূর্ব জঙ্গল। আর এই শীতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভালকি মাচান। এখানকার শান্ত স্নিগ্ধ প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। শহরের কোলাহলের বাইরে কিছুটা সময় কাটাতে হলে আপনি আসতে পারেন আউশগ্রামের ভালকি মাচানের জঙ্গলে।

বর্ধমানের আউশগ্রামে রয়েছে এক গভীর জঙ্গল। তারই এক অংশে এই ভালকিমাচন। এখানে রয়েছে শাল-পিয়ালের জঙ্গল। তার মধ্যেই মধ্যে রয়েছে রাজ আমলের উঁচু পুরোনো স্তম্ভ। তা মাচান নামে পরিচিত। মাচানের অদূরে রয়েছে ছোট একটি জলাশয়। এই জলাশয়ে জল খেতে আসা বন্য পশুদের শিকার করার জন্য অতীতে মাচানগুলি তৈরি করা হয়েছিল।এখন অবশ্য একটি ইট-শুরকির গাথনি করা মাচান আছে। একসময় প্রচুর ভাল্লুক ছিল এই জঙ্গলে। সেই ভাল্লুক শিকার করা হতো ওই মাচানে বসে।তাই জায়গার নাম ছিল ভালুকমাচান। তার থেকে ভালকিমাচান। দলমা থেকে বনপথ ধরে নেমে আসে হাতির পাল। এখনও প্রচুর বনবিড়াল, শিয়াল, বুনো শুয়োর রয়েছে এই জঙ্গলে। আর আছে নানা প্রজাতির পাখি, প্রচুর প্রজাপতি।
জঙ্গলের মধ্যে নিরিবিলিতে কাটান বেশ কিছুক্ষণ। চাঁদনী রাতে জঙ্গলে এক মায়াময় পরিবেশ তৈরি হয়। সকালে বা বিকেলে ভালকিমাচান জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আসুন। ভালকিমাচান জঙ্গলের কাছেই রয়েছে রাজ্য মৎস্য বিভাগের যমুনাদিঘি মৎস্য প্রকল্প। রয়েছে গাছগাছালিতে ঘেরা বড় বড় জলাশয়। মাছের চাষ হয় এই জলাশয়গুলিতে। জলাশয়ের উপরে রয়েছে ফ্লোটেল। সেখানে চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয় নিয়ে নিরালায় সময় কাটানো যায়। ঘুরে বেড়ানো যায় জলাশয়ের ধারে ধারে। সকালে জলাশয়ে মাছধরা দেখা যায়। খালপথে বোটিং করা যায়। চাইলে মাছ ধরাও যায়। কমপ্লেক্সের মধ্যেই রয়েছে চিলড্রেনস পার্ক, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আহারে পাবেন সদ্য ধরা মাছের টাটকা পদ। ভাল লাগবে।
যাওয়া - ট্রেনে গেলে নামতে হবে বর্ধমানের মানকড় বা গুসকরা স্টেশনে। হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সময় লাগবে আড়াই ঘন্টা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সড়কপথে কলকাতা থেকে ভালকিমাচানের দূরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে , পরাজ রেলস্টেশন, অভিরামপুর হয়ে গুসকরা। কলকাতা থেকে সড়কপথে ভালকিমাচান পৌঁছাতে সময় লাগবে তিন ঘন্টা। হাওড়া থেকে ট্রেনে গুসকরা বা মানকড় স্টেশনে নেমে ভালকিমাচান যাওয়া যেতে পারে।
থাকা - ভালকিমাচনের পাশেই আছে 'অরণ্যসুন্দরী' হোটেল আর অদূরেই পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দপ্তরের 'যমুনাদীঘি' এখন সব on line booking হয়।
-শ্বাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়
.jpeg)



COMMENTS