What is the reason for the conflict between the snake and the mongoose? Why is that?
বং 24 ডেস্কঃ বাংলা সাহিত্যে একটা বাগধারা আছে অহি-নকুল সম্পর্ক। যার অর্থ চরম শক্রতা। অহি অর্থ সাপ আর নকুল অর্থ বেজি। সাপ ও বেজির সম্পর্ককেই অহিনকুল সম্পর্ক বলা হয়ে থাকে। কারণ এদের দুজনের মধ্যে শত্রুতা আজন্মের। বেজি সাপকে দেখলেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, কোন প্রকার চিন্তাভাবনা না করেই; সে যতোবড় বিষধর সাপ হোক না কেন। আর সাপও লড়াই করতে বাধ্য হয় স্বীয় প্রাণ রক্ষার্থে। যুদ্ধ শেষে বেজি জয়ের হাসি হাসে, কারণ সাপের বিষ বেজির শরীরে কাজ করে না। সহজ কথায় সাপ এবং বেজির শত্রুতা বা সংঘাতের কারণ হলো এই লড়াইয়ের মাধ্যমেই এই দুই প্রাণীর বেঁচে থাকা বা না থাকা নির্ভর করে। বিশেষ করে সাপের জন্য।
সাপ সাধারণত তার শিকার বস্তু ছাড়া বিরক্ত বা আক্রমণ না করলে কাউকে আক্রমণ করতে আসে না। কিন্তু একটা বেজি একটা সাপকে তাঁর শিকার বস্তু বা খাবার হিসেবে দেখে। তাই বেজি সাপকে আক্রমণ করে। আর সাপ বেজিকে তার জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভেবে সাপ সেলফ ডিফেন্স হিসেবে বেজিকে আক্রমণ করে। এই মৃত্যুর খেলায় যে বেঁচে থাকবে সেই হবে জয়ী। তবে অজগর সাপের বেলায় বেজি অজগরের খাদ্যে পরিণত হতে পারে। তখন চতুর বেজি অজগর সাপকে আক্রমণ করার সাহস পাবে না।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, বেজির শরীরে আছে nicotinic acetylcholine receptor [সংক্ষেপে nAChR], যা কিনা বেজিকে সাপের বিষ থেকে রক্ষা করে। বেজির শরীরে এই মডিফাইড রিসিপটর সাপের বিষ α-neurotoxin বেজির শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। এখানে Acetylcholine (ACh) হচ্ছে মানুষসহ যেকোনো প্রাণীর দেহে একধরনের অর্গানিক কেমিক্যাল যেটি কিনা মস্তিষ্ক এবং শরীরে নিউরো-ট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। এই নিউরো-ট্রান্সমিটার হল প্রাণীদেহের নিউরো সেল এক ধরনের কেমিক্যাল সিগনাল বা মেসেজ পাঠায় শরীরের আরও বাকি সেলগুলোকে, যেমনঃ নিউরন, মাসল সেল এবং গ্ল্যান্ড সেলকে।
বেজির এই nicotinic acetylcholine রিসিপটর থাকার কারণে সাপের বিষ বেজির শরীরে ঢুঁকে বেজির নার্ভ সেল, মাসল সেল এবং গ্ল্যান্ড সেলের তেমন একটা ক্ষতি করতে পারে না। বেজির মতো এই অনন্য বৈশিষ্ট্য মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী দেহে না থাকায় কোবরার মতো বিষধর সাপের কামড়ে যেকারও মৃত্যু অবধারিত।
কলমেঃ সুধাংশু কুমার সরকার





COMMENTS