The children of Mukundanagar brickyard are warmed by Krittika's love this winter.
সৌমিতা পাল, বং 24 ডেস্কঃ আজ প্রায় আড়াই বছর আমরা ভাটার মানুষদের নিয়ে কাজ করছি। ওদের সাথে মেলামেশা করতে করতে আজ ওরা আমাদের চিনেছে,আবার আমরাও ওদের ভাষা (আঞ্চলিক) কিছুটা বুঝতে শিখেছি। নিজের এবং পরিবারের চাহিদা পূরণ করার পর যদি কারো কথা মাথায় আসে তো ওদের মলিন মুখ গুলোই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমাদের সামর্থই বা কতটা??? সব সামলে কারোর একার পক্ষে এক আধ টা দিন একটু ভালো খাবার আয়োজন করা এর বাইরে আর তেমন কিছু করা সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি আমরা দশজন এক হই তখন ওদের জীবনে একটা বদল আনবার সাহস হয় ।
ঠিক এমন ভাবেই আমাদের ভাই, বোন,আত্মীয় বা বন্ধুরা যখনই আমাদের ভাটার মানুষগুলোর সাথে আমাদের কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখেছে, সোশ্যাল মাধ্যমে তখন তারা অনুভব করেছে - কিভাবে এই বাচ্চাগুলোকে ওরাও একটু সাহায্য করতে পারে। বিশ্বাস করেছে আমি নারী সব পারি ( ANSP Trust) পরিবারকে । তারা মনে করেছে দূরে প্রবাসে বসেও কেউ যদি তাদের এই ইচ্ছা পূর্ণতা দিতে পারে সেটা হলো আমি নারী সব পারি ( ANSP Trust) পরিবার । আমরা সত্যিই খুব ভাগ্যবান যে আমরা তাদের মনে এই ভালোবাসার জায়গা - এই বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে পেরেছি।
এমন ভাবেই আমার একজন প্রবাসী বোন কৃ্ত্তিকা যে নাকি চাকরিসূত্রে স্কটল্যান্ডে থাকেন বর্তমানে। আমাদের বাচ্চাদের ভিডিওতে লক্ষ্য করেছেন তারা প্রত্যেকে ধূলো মাখা পায়ে দৌড়িয়ে আসে আমাদের দিকে। তার মনে কষ্ট দানা বেধেছে। এমন শীতে আমরা যখন যবুথবু, সোয়েটার মোজা পড়ে ঘরে কম্বলের তলায় কফির কাপ হাতে আমোদ করে কফি খাচ্ছি আর শীতের আমেজ উপভোগ করছি, ঠিক অন্য এক পৃথিবীতে ছোট ছোট শিশুগুলো বিনা সোয়েটারে খালি পায়ে ধুলা মাটিতে দৌড়ো বেড়াচ্ছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ঠিক সেই মুহূর্তে সে আমাদের জানায় তার মনে চলতে থাকা এই কষ্টের কথা। আর ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রত্যেকটি বাচ্চার পায়ে সে জুতো দেখতে চায়।
তার এমন সুন্দর ইচ্ছার কথা জানতে পেরে এনএসপিও সাথে সাথে তার ইচ্ছা পূর্তি ঘটাতে সামিল হয়ে যায়। আনা হয় বাচ্চাদের প্রত্যেকের পায়ের জুতোর মাপ। সেইমতো আনা হয় জুতো। এইভাবে ১৮ই ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ১০০জন বাচ্চা পেলো এই শীতে কৃত্তিকা’র ভালোবাসার উষ্ণতা। এমন সুন্দর আনন্দময় দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমরা। ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করবো না কৃত্তিকা কে। শুধু বলবো এই ভাবেই পাশে থাকার জন্য। 🙏🙏🙏🙏

COMMENTS