Messi's World Cup in Qatar - The world saw the exciting game.
বং 24 ডেস্কঃ ২০২২ মেসির শেষ বিশ্বকাপ।অনেক অঙ্কের ওঠা পড়ার পরে ফাইনালে ল্যাটিন আমেরিকা বনাম ইউরোপ।খেলার ফল - বিজয়ীর মুকুট আর্জেন্টিনার মাথায়।কিন্তু তার মধ্যেও আরো অনেক খেলা থাকে - যা মানুষ ভুলে যায়।মনে থাকে শুধু পরিসংখ্যান।ফুটবল মানেই 'তেকাঠি শুটাউট'।সেখানে অসাধারণ সাফল্য নিয়ে আসলো মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা।কিন্তু পুরো খেলায় টান টান উত্তেজনার স্বাক্ষী রইলো ফুটবল প্রেমী মানুষ।প্রথমার্ধে মেসি দেখিয়ে দিল কোন টেকনিকে বিশ্ব জয় করা যায়।কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কিছু বোঝার আগেই জ্বলে উঠলো এমবাপের ১১ জন।গোল তখন ২-২।তে'কাঠিতে দুজনেই সমান।খেলায় দুরন্ত গতি,নিখুঁত পাসে কখনো আর্জেন্টিনা আবার কখনো ফ্রান্স এগিয়ে গেছে।কিন্তু স্কলোনির ছেলেরাই টাই-ব্রেকারে শেষ হাসি হাসলো।
কোপা আমেরিকাতে ব্রাজিলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। গত বছরের সেই সাফল্যের রেশ ধরে রেখে এবার গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতল লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন দল। ২০০২ সালে ব্রাজিলের পর এই প্রথম লাতিন আমেরিকার কোনও দেশ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলো। বিশ্বকাপে ষষ্ঠবার পেনাল্টি জয় আর্জেন্টিনার, যা কাটাল ৩৬ বছরের কাপ জয়ের খরা।লিওনেল মেসির দিকে লক্ষ ছিল বিশ্বের।তিনি ব্যর্থ হন নি।
লিওনেল মেসি এবারের বিশ্বকাপে একাধিক নজির গড়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে জোড়া সোনার বল জয়। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাস্ত হয়েছিল। সেবারও টুর্নামেন্টের সেরা হয়ে সোনার বল জিতেছিলেন মেসি। এবার আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করলেন আগাগোড়া দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়ে। সাতটি গোল করার পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট রইল তাঁর নামের পাশে। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা, সেবার সোনার বল পেয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। কাতার বিশ্বকাপে মেসি সাতটি গোল করেছেন। ফলে বিশ্বকাপে তাঁর গোলের সংখ্যা থামল ১৩-তে।এই গোলের আপোষহীন ক্ষিধে মেসিকে 'মেসি' করে তুললো বিশ্ববাসীর কাছে।
এমবাপের সত্যি সোনার 'পা'! বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে হ্যাট্রিক করে সোনার বুট পেলেন কিলিয়ান এমবাপে। এবারের বিশ্বকাপে তিনি মোট ৮টি গোল করেছেন। মোট গোলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১২-তে। বিশ্বকাপে পেলের নজির স্পর্শ করলেন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে পরের বিশ্বকাপেই মিরোস্লাভ ক্লোসের ১৬টি গোলের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন এমবাপে।বিশ্বকাপ ফাইনালে দুরন্ত গোলকিপিং করেছেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে পরাস্ত করতে অবদান রেখে তিনি জিতে নিলেন সোনার গ্লাভ।
পুরো খেলা ৭৯ মিনিট পর্যন্ত ছিল আর্জেন্টিনার।কিন্তু ৮০ মিনিটের মাথায় বদলে যায় পরিস্থিতি।দেড় মিনিটের মাথায় পর পর দুটো গোল করে খেলার উত্তেজনা ফিরিয়ে দিল এমবাপে।অতিরিক্ত সময় আবার সেই মেসি।১০৮ মিনিটে দুরন্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দিল সেই মেসি।কিন্তু ১১৮ মিনিটে পেনাল্টি! ভুল করলো না এমবাপে।অতিরিক্ত সময়ে খেলার ফল ৩-৩ ।
বাকিটা টাই ভাঙার খেলা। এখানেই এগিয়ে গেলো মেসির দল। আবার চার বছরের অপেক্ষা।
- শ্বাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়


.jpg)

.webp)


COMMENTS