Right education breeds humanity and discipline - Swami Atmasradhananda Maharaj
বং 24 ডেস্কঃ কর্মযোগী স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড়ে প্রথম রামকৃষ্ণ মিলন মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তাঁর মনের সুপ্ত বাসনা ছিল সমস্ত পৃথিবীতে রামকৃষ্ণ মঠ প্রতিষ্ঠা করে ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাণী ও 'বেদান্তবাণী'কে ছড়িয়ে দেওয়ার। তারই প্রতিফলনে আজ দেখা যায় ভারতের প্রায় সমস্ত প্রদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠিত।
পুরো গল্প জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
ভারতের দিল্লি,লখনৌ, কানপুর, চেন্নাই,বিহার সহ সমস্ত ভারতে রামকৃষ্ণ মিশনের দীক্ষিত স্বামীজিরা রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের বাণী,নীতি,আদর্শ প্রচার করে চলেছেন। মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের জীবনের শিক্ষার বিকাশ ঘটানো। ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন প্রকৃত শিক্ষার বিকাশ ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি হতে পারে না।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর প্রকৃত শিক্ষার মধ্যে বিস্তর দূরত্ব। প্রকৃত শিক্ষা হলো - মনুষত্বের বিকাশ। স্বামীজি বলতেন, ব্রহ্ম তোমার মধ্যে প্রথম থেকেই বিদ্যমান। প্রকৃত শিক্ষা সেই ব্রহ্মের বিকাশ ঘটাবে। শুধু নিজের মুক্তি নয়,প্রকৃত শিক্ষা সমস্ত মানবজাতির মুক্তির জন্য তোমার হৃদয়কে উন্মোচিত করবে।
| সাংবাদিক কৌশিক চ্যাটার্জি (বাঁয়ে) ও স্বামী আত্মশ্রদ্ধানন্দ মহারাজ (ডানে) |
কানপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী আত্মশ্রদ্ধানন্দজি বলেন, চিন্তার বিকাশ,চেতনার বিকাশ , আধ্যাত্মিকতার বিকাশ ও মনুষ্যত্বএর বিকাশ ঘটানোই প্রকৃত শিক্ষা।তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের লোগো প্রসঙ্গে বলেন, এটি স্বামী বিবেকানন্দের নিজের হাতে আঁকা লোগো। ওখানে দেখা যাচ্ছে , চক্রাকারে ঘিরে থাকা সর্পটির অভ্যন্তরে উদীয়মান সূর্য, প্রস্ফুটিত পদ্ম, তরঙ্গায়িত জলের মধ্যে ভাসমান রাজহংসের ছবি।বৃত্তের মধ্যে একেবারে নিচে লেখা, 'তন্নো হংসঃ প্রচোদয়াৎ।' স্বামী আত্মশ্রদ্ধানন্দ মহারাজ ওই লোগোর ব্যাখ্যায় বলেন ,
* তরঙ্গায়িত জলের চিত্র হলো - কর্মের প্রতীক।
* প্রস্ফুটিত পদ্ম ও উদিতমান সূর্য হলো - ভক্তি ও জ্ঞানের প্রতীক।
* ঘিরে থাকা সর্পটি - যোগ ও কুলকুণ্ডলিনী শক্তি জাগরণের ইঙ্গিত বহন করে।
এভাবেই স্বামী বিবেকানন্দ একটি চিত্রের মধ্য দিয়ে সমস্ত বেদান্ত ধর্মকে বুঝিয়েছিলেন।
পুরো গল্পটি জানতে ভিডিও লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কলমেঃ শ্বাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়
COMMENTS