পারমিতা ঘোষ মজুমদার, ব্লগSHOT: কেউ হাত ধরুক। সারাদিন ঘুরে বেড়াবো গাছেদের সাথে, পাখিদের সাথে। দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সুর যে হাওয়ায় মিশেছে...
পারমিতা ঘোষ মজুমদার, ব্লগSHOT: কেউ হাত ধরুক। সারাদিন ঘুরে বেড়াবো গাছেদের সাথে, পাখিদের সাথে। দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সুর যে হাওয়ায় মিশেছে সেই হাওয়া এসে লাগুক আমাদের মুখে ঠোঁটে। ভোর কুয়াশায় লুকিয়ে থাকা ঘাস দুই আঙুল দিয়ে একটা একটা করে ছিঁড়বো আমরা, মুখোমুখি বসে। তাঁর গানের সুর মিশবে নরম রোদে। আবার সে হাসবে, বিভোর হয়ে মিশবে প্রকৃতিতে। পাখিদের ছবি তুলবে। সারি সারি বক আকাশে উড়ে যাবে আমাদের কাছ থেকে। হাতে করে কাকড়ি দানা খাওয়াবে পায়রাদের। আঁর কমলা পাঞ্জাবিতে সোনাঝুড়ির সবকটা রঙ মিশবে এসে। আমি দেখবো। কোপাইএর পাড়ে যখন সন্ধ্যা নেমে আসবে কাঁধে মাথা রাখবো। তবু দেখবো মন ভরে... লাল আলোর আভা কিভাবে তাঁর মুখে আবীর ঢেলে গেছে। সে মানুষ, মানুষ নয়। বহুকাল পর এমন ধারণা হয় আমাদের, যাকে মনে মনে পুজো করা যায় সে আর মানুষ থাকেনা বোধহয়।
বীরভূম জেলার বক্রেশ্বরের কাছেই সোনাঝুড়ি গ্রাম। প্রতি শনিবারের খোয়াইএর হাটে এমনই করেই রঙবেরঙের পশরা সাজানো হয়। পাশে চলে বাউল গানের আসর। কিছুটা দূরেই তিরতির করে বয়ে চলে কোপাই নদী। এ গাছ ও গাছ ভেদ করে মন চলে যায় বার বার ঐ নদীর ধারে। এমন স্নিগ্ধতার সবটুকু যদি নিজের মধ্যে শুষে নেওয়া যেত।
দূরে কোথায় মনকেমনিয়া বাঁশির সুর বেজে চলেছে। সেই সুরে যেন বিরহ মাখা আনন্দ, অপেক্ষার আনন্দ, পাবার আনন্দ সবটা মিলে মিশে একাকার হয়েছে।
আমার ভীষণ ইচ্ছে, জীবনের শেষ দিনটাতে যেন এখানকার সূর্য ওঠা দেখতে পাই।




COMMENTS