He had a demand for an integral India. Not caste, not religion, the service of motherland was the vow.
কৌশিক চ্যাটার্জি, দিল্লিঃ আর্মি ব্যান্ডে জাতীয় সংগীতের তালে তালে দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে নেতাজীর মূর্তি উন্মোচন করলেন দেশের প্রধান মন্ত্রী - শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশনায়ক নেতাজীর মূর্তি রাজধানীর বুকে স্থাপন করতে দীর্ঘ ৭৫ বছর লেগে গেল। কিন্তু কেন ?
আসুন, আমরা একটু পিছিয়ে যাই, ২০০৫ সাল, মুখার্জি কমিশন রিপোর্ট পেশ করলেন সরকার বাহাদুরের কাছে। সরকার সে রিপোর্ট জনসমক্ষে আনলেন না, কেন ? নেতাজী ভক্ত, গবেষক ও সাংবাদিক শ্রী অনুজ ধর বলছেন : যখন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ হল না, তখন শ্রী ধর, শ্রী চন্দ্রচূড় ঘোষ, শ্রীজিত পনিরকর প্রভৃতি কয়েকজন নেতাজী ভক্ত ঠিক করলেন তাঁরা "সূচনা কি আধিকার" আইনের সাহায্য নেবেন এবং সরকার বাহাদুরের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখতে চাইবেন। এর দুরকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এক, সরকার পুরো রিপোর্ট দেবেন অথবা দুই, কোন রিপোর্ট দেবেন না। যদি দেন -- ভালো, সব জানা যাবে, যদি না দেন -- সেটাও ভালো। যে কোন নেগেটিভ খবর সবচাইতে বেশী জনপ্রিয় হয়, চলে বেশী।
শেষমেশ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজি হলেন এবং নেতাজী অন্তর্ধানের কিছু দলিল দস্তাবেজ National Archives এ পাঠাতে রাজি হলেন। শুনে অবাক হতে হয়, মোট দলিলের সংখ্যা ছিল কমবেশি ৭০,০০০, কিন্তু National Archives পায় মাত্র ১০০০ মত। সরকার বাহাদুর বললেন দেশের আইনের স্বার্থে সব দলিল প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই সব তথ্য উঠে এসেছে শ্রী অনুজ ধরের সঙ্গে খোঁজ 24 এর সাংবাদিক কৌশিক চ্যাটার্জী’র কথোপকথনে।
এতো দলিলের ফাঁকে চলে এসেছে এমন একটি দলিল যা হয়তো সরকার বাহাদুর দিতে চান নি। কি সেই দলিল? শ্রী অনুজ ধর খোঁজ 24 এর সাংবাদিক কে জানালেন -- সেটি একটি প্রতিলিপি। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,স্বাধীনতা উত্তর পর্বে, নেতাজির পরিবার বা নেতাজী ঘনিষ্ট সবার পিছনে গোয়েন্দা নজর রাখা হয়েছে। এখন প্রশ্ন - কেন? কিসের ভয়? কিসের সংশয় ? উত্তর অজানা।
শ্রী কপিল কুমার, নেতাজী গবেষক ও ইতিহাসবিদ আক্ষেপ করে বলছেন, আমাদের বাচ্চাদের নেতাজির ইতিহাস পড়ানো হয় না। আমরা কজন জানি নেতাজির তৈরী ঝান্সী বাহিনীর কথা, বাল সেনার কথা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসকে নির্বাচনে পরাজিত করে নেতাজির জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া, ভারতীয়দের অপমান করার ফল নেতাজির কাছে হাতেনাতে পেতে হয়েছিল ওটেন সাহেবকে -- সে কথা।
অখণ্ড ভারতের দাবী ছিল তাঁর। জাত নয়, ধর্ম নয়, দেশমাতার সেবাই ছিল ব্রত।
২৩শে জানুয়ারি -- জয় হিন্দ, জয়তু নেতাজী, নেতাজির একটা ছবি WhatsApp বা ফেসবুক পাঠিয়ে আমরা মনে করি তাঁকে সম্মান জানাচ্ছি। আসলে সেটা অপমানের নামান্তর মাত্র। নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বর্ন, ধর্ম, জাত ভুলে দেশের জন্য, দেশমাতার সেবা করার মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করাই, তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।
সুত্রঃ খোঁজ 24 News
রিপোর্টারঃ কৌশিক চ্যাটার্জি কলমেঃ রাজকুমার মুখার্জী |
COMMENTS