Today, 34 years later, an Infosys hospital is sitting on land. All BPOs are sighing. The rest of the company moved to Bhubaneswar.
ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, ব্লগSHOT: তুমি বাংলাকে নষ্ট করে দিয়েছো। বাংলাকে বঞ্জর জমিন বানায়েছো। বাংলাকে একশো বছর পিছিয়ে দিয়েছো। রিফিউজি ঢুকিয়েছো। ইংরেজি তুলে বাংলাভাষা মাতৃদুগ্ধ বলেছো। দেশে প্রথম মোবাইলে হ্যালো, প্রথম আইটি সেক্টর আনার পরেও বাংলা থেকে নাকি কম্পিউটার তুলে দিয়েছো বলে অভিযোগ!
তাই আজ ৩৪ বছর পরেও, একটা ইনফোসিস হাপিত্যেশ করে বসে থাকলো জমির জন্য। সব বিপিও দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। বাকি কোম্পানি ভুবনেশ্বর চলে গেছে। একটা সেক্টর ফাইভের পরে সেক্টর সিক্স, সেভেন, এইট এলো না। রাজারহাটের পরে রানীরহাট এলো না। ভূমি সংস্কারের পরে একটাও নতুন কৃষি বিপ্লব হলো না, উল্টে কৃষক আত্মহত্যা বেড়ে চললো। ছেলেমেয়েরা দিল্লি, মুম্বাই, পুনে, চেন্নাই, চলে গেল উচ্চশিক্ষিত হয়ে, বাংলাকে বৃদ্ধাশ্রম বানিয়ে।
আবার বাংলাভাষার পক্ষ নিতে হচ্ছে। আবার বাঙালি জাতীয়তাবাদ আনতে হচ্ছে। আবার হিন্দি আগ্রাসন আটকাতে হচ্ছে। আবার মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ বলতে হচ্ছে।
আর কেউ রুখে দাঁড়াবার নেই। কেউ চোখে চোখ রেখে উৎসবকে উৎসব আর পুজোকে পুজো বলবার নেই। না কোনদিন তোমাকে সরকার চালাতে ফেজটুপি বা নামাবলি পড়তে হয়নি। না কোনদিন ভোট পেতে জয় শ্রী রাম বা ইনসাল্লাহ বলতে হয়নি।
না আর কেউ দেশের রাজনীতিতে যুক্তফ্রন্ট, ফেডেরাল ফ্রন্ট বা তৃতীয় ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নেই। সব ফাউ কিন্তু সব্বাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আর কেউ সমীহ করে জায়গা ছেড়ে দেয়না প্রথমে বলার জন্যে। গান্ধী পরিবার আর কারোর অনুযোগ শুনে চুপ করে যায় না। জনসংঘ আর কাউকে সমঝে চলে না। পলিটব্যুরো আর কোন বাস্তববাদী সিদ্ধান্ত নিতে কলকাতামুখো হয়না।
আর কোন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বেঁচে নেই। এখন পঞ্চায়েত ভোটে ঘর থেকে বেরোলে বোম মেরে দেওয়া হয় দালানে। ট্রেড ইউনিয়ন নাম কে ওয়াস্তে হয়। লাল পতাকাও নেই তাই মেহনতী মানুষেরাও বিভ্রান্ত। জাতের জন্য লড়বে না ভাতের জন্য?
এখন মৃত্যু বাঙালি রাজনৈতিক কর্মীর হয়না। হিন্দু বা মুসলিমের হয়। তুমি গেছো, স্পর্ধা গেছে, বুদ্ধ গেছে, অন্ধকার এসেছে।
©---- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
COMMENTS